Rose Roseমেকুর (ধারাবাহিক গল্পঃ পর্ব-২) Rose Rose

লিখেছেন লিখেছেন মামুন ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১০:৪৫:১৫ রাত



Good Luckজীবনটা মাড়হীন সাদা ভাতের মত হয়ে রইলো।

ঝরঝরে... তবে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য রইলো না। আগেও কি ছিল? আমার মাথার উপর থেকে একটি ছাদ সরে গেলো, বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাও আরো মরে গেলো। কোথায় যাব, কিভাবে কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। আমার প্রতিদিনের সঙ্গী বিচ্ছুবাহিনীর সদস্যরাও মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করল। তবে ওদের ভিতরেও কয়েকজন খুব কাছের মানুষ ছিল।

কাছের মানুষ!

সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিল মা- যাকে বউ এর জন্য দূরে সরিয়ে দিয়েছিলাম। আর সময়ের ফেরে সেই আপাতদৃষ্টিতে সবচেয়ে কাছের মানুষ জানা বউটিও আমার মেয়েকে নিয়ে অ...নে...ক দূরে চলে গেলো। তাই বলছিলাম কাছের মানুষ আসলে ‘নিজে’ ছাড়া আর কেউই হয় না। তবে বিচ্ছুবাহিনীর একজন আমাকে তার বাসায় আপাতত থাকতে দিল। আপাতত আমার থাকার যায়গার ব্যাবস্থা হয়ে গেল। আর খাবার জন্য ক্যাম্পাসের হলে কিছু ছোট ভাই-ব্রাদার ছিল। এদের সাথেও অনেক ভালো সম্পর্ক তৈরী হয়েছিল। তাই হলেই খাবার ব্যবস্থা হয়ে গেল। আমার বর্তমান দুরাবস্থার কথা ওরাও জেনেছিল। তাই কোনো সম্পর্ক না থাকার পরেও এই সম্পর্কহীন অবস্থার ভিতর দিয়েও এক অনুপম সম্পর্ক তৈরী হয়েছিল। সে অন্য এক কাহিনী। ওদেরকে ও মেকুর বানিয়েছিলাম। মানে বানাবার চেষ্টা করেছিলাম। আমি নিজেও কি হতে পেরেছিলাম?

হয়ত না... হয়ত হ্যা।

সেদিন দুপুরে বঙ্গবন্ধু হলে দুপুরের খাবার খেয়ে ২১২ নাম্বার রুমের দিকে হেঁটে চলেছিলাম। পথে কয়েকজনের সাথে দেখা হতেই মৃদু সৌজন্য প্রকাশ করল। মুখের কোণে একটু হাসি ফুটিয়ে তুলে আলতো করে পাশ কাটিয়ে যাওয়া!

এও বা কম কি?

আমার মত বর্তমানের এক তাড়া খাওয়া কুকুর জীবনের জন্য অনেক বেশী বৈকি!

এই রুমেই আমার এলাকার এক প্রভাবশালী ছোট ভাই কাম ক্ষমতাসীন দলের পাতি নেতা এলটেড। ওর সাথে সারাদিন এখানে থাকি। আর রাতে সেই বিচ্ছুবাহিনীর সদস্যের বাসায়। রাতে হলে থাকাটা অনেক রিস্কি। এজন্যই ছোটভাই পলাশ নিজেই রাতে থাকতে নিষেধ করেছে।

রুমের ভিতরে ‘তামাক’ তৈরী হচ্ছিল। সবশেষে নারিকেলের চুঁচড়া পাওয়া গেলনা। সবাই অপেক্ষা করে আছে। ঈষৎ বিরক্ত। ভাত খেয়ে এসেছে। একটু তামাক না হলে কি চলে। একজনকে দেখলাম নারিকেলের পাপোষ থেকে ছোবড়া ছিড়ে নিয়ে গোল করছে। আমি একেবারে শেষ কর্নারে গিয়ে জানালার পাশের বিছানায় শুয়ে পড়লাম আমাকে ওরা ‘আসরে’ বসার জন্য ডাকলেও ইচ্ছে করলনা বিধায় গেলাম না। তবে মুখে হাসি দিয়ে অনিচ্ছার কথা জানালাম। ওরা নিজেদেরকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ল।

সবাই গোল হয়ে বসেছে।

কয়েকজন যুবক। যাদের বাবা-মায়ের আশাকে লালন করছে সবাই। প্রাণোচ্ছল, মুক্ত বিহঙ্গের মত, কাকের চোখের মত স্বচ্ছ চোখে নেই ম্লান বেতফলের দৃষ্টি। তবে ওরা যে পথে যাচ্ছে, একসময় ঘষা কাঁচের সেই দৃষ্টি লাভ করতে যাচ্ছে সবাই।

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সেদিনের পেপারটা হাতে তুলে নিলাম।

কিন্তু কোনো খবরকেই খবর মনে হচ্ছিলনা। আমার নিজেকেই দেখতে পাচ্ছিলাম যেন হেডলাইনে। বিরক্ত হয়ে রেখে দিলাম।

আসরের সদস্যদের হাসির শব্দে আবার ফিরে তাকালাম। এদের জন্য আমার কি কিছুই করার নেই? কে যেন আমাকে নিজের ভিতর থেকে বলল, ‘ নিজের জন্যই কিছু করতে পারনি, অন্যের জন্য কি করবে? আমি আবারো একটি দীর্ঘশ্বাস গোপন করতে গিয়েও করলাম না। সশব্দে ছেড়ে দেবার সময় ভাবলাম, আমি একজন মেকুর। মেকুরেরা কোনো কিছুতেই অনুভূতি রেখে যাবে না।

কয়েকজন যুবকের পথবিহীন পথচলায় নির্বিকার থাকার চেষ্টা করতে করতে আমি ফিরে গেলাম বেশ আগে... যখন আমিও এদের মত ছিলাম। আমার ভার্সিটি জীবনের সেই সুবর্ণ সময়টিতে। যখন নিজের অবচেতন মনে মেকুর হবার প্রাথমিক দীক্ষা এমনিতেই হয়ে যাচ্ছিল।আমি অনুভূতিহীন হবার আপ্রাণ চেষ্টা করতে করতে নিজের নষ্টালজিক কিছু অনুভূতির সাগরে ক্রমশঃ তলিয়ে যেতে লাগলাম... গভীর থেকে আরো গভীর সোপানে... ।

... ... ...

তখন ভার্সিটির থার্ড ইয়ারে।

চাটগায় একাই থাকি।

আল-ফালাহ গলির রেখা লজে প্রায় ই যেতাম। ওখানে রেজা, মিলন, পারভেজ, নাজমুল, অমিত, টিটু, লিমন সবাই এক সাথে থাকত। মেসের মতো, আবার মতোও না। কেন না সে কথায় পরে আসছি।

ভার্সিটির ক্লাশ শেষ হলে (ক্লাশ কি করতাম? হ্যা, করতাম, তবে তা স্টেশনে ও কাটা পাহাড়ের উপরে সবার সাথে) জুবায়ের, মাতাল বাবু সহ সবাই চলে যেতাম রেখা লজে।

তখনো মেকুর হয়ে উঠি নাই কেউ ই। মেকুরীয় পর্যায়টি সুপ্ত অবস্থায় ছিল।

রেখা লজের রান্না ঘরে কয়েকজন 'মেকুর না হয়ে উঠা' তরুনের উচ্ছল উদ্দামতা বাঁধ না মানা স্রোতের মত এগিয়ে চলছিল।

আমরা যারা বাইরে থেকে আসতাম, ক্ষুধার জ্বালায় রান্না ঘরে গিয়ে যে যেভাবে পারি ভাত-তরকারি খেয়ে ফেলতাম। কিন্তু লজের যাদের খাবার কথা ছিল, তারা অনেক সময় না খেয়ে থাকত। পারভেজ, রেজা, নাজমুলকে কত গলির মুখের হোটেলে কিছু খেয়ে নিতে দেখেছি। তবে তারপর ও মুখের হাসি অমলিন রেখে আমাদের সাথে এসে গলা মিলিয়েছে-

' এই মুখরিতো জীবনের চলার পথে...'

এ জন্যই উল্লেখ করেছিলাম 'মেসের মতো ও' না। সেটা ছিল বন্ধুদের জন্য এক সার্বজনিন মিলন মেলা। যেখানে এসে 'বন্ধু' শব্দটা- শব্দের গন্ডী পেরিয়ে 'বন্ধু' হতে শিখিয়েছে।

যেটা অনুভব করলাম দীর্ঘ ১৫ বছর পর...

জিইসি মোড়ে আর হোটেল মেরিডিয়ানের সামনে সেই বন্ধুদের সাথে গলায় মিলতে গিয়ে মনেই হয় নাই ১৫টি বছর চলে গেছে।

সময় আমাদের সেই অনুভুতিকে কেড়ে নিতে পারে নাই, যা আমরা অর্জন করেছিলাম...

অর্জন করেছিলাম? ... হ্যা, বন্ধুত্ব অর্জন করতে হয়। ফেসবুকের মতো সেকেন্ডেই নয়।

এমনি এমনি কি আর বন্ধু হওয়া যায়?

রেখা লজে সময় ভালোই কেটে যাচ্ছিল। রেজা, পারভেজ, নাজমুল, মিলন ও মুন (কম্পিউটার জিনিয়াস নাম দিয়েছিলাম আমরা) মিলে জিইসি মোড়ে ‘ফিউচার নেটওয়ার্ক সিস্টেম’ নামে কম্পিউটার রিলেটেড ব্যবসা করছিলো। সেই ১৯৯৪-৯৫ এ কম্পিউটর আজকের দিনের মতো এতো সহজ ও বিস্তৃত ছিলো না। আমার মনে হয় গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস তখনো আসে নাই বা এলেও এত ব্যপক ছিলো না। আজ যতো সহজে এম এস ওয়ার্ডে কাজ করা যায়, সে সময় ওয়ার্ড পারফেক্টে অনেক কমান্ড মুখস্ত করে কাজ করতে হত।

আমার বন্ধুদের দেখতাম, দিনে ভার্সিটির পড়া-লেখা আর বিকালের আড্ডার সময় ছাড়িয়েও ভাগ ভাগ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সময় দিয়েছে। কাউকে বলা লাগে নাই, তুই যা বা কে যাবে কিংবা আমি পারবো না এ ধরণের কথা। আমিতো সেই ভার্সিটি থেকে রাত পর্যন্ত ওদের সাথে থাকতাম। তাই ওদের ভিতরের এই আন্ডারস্ট্যান্ডিং আমার চোখে পড়তো এবং ভালোও লাগত। আমার আরো কিছু বন্ধু ছিলো বড় পোল, সিডিএ আবাসিক এ্লাকা, সিজিএস কলোনি, টি এন্ড টি কলোনি, বেপারী পাড়া- এসব যায়গায় আমি ঘুরে ফিরে আড্ডা দিতাম। তো রেখা লজের এই ভবিষ্যৎ মেকুরদের সাথে থেকে থেকে আমি বাকী সব আড্ডা থেকে কিভাবে যেন সরে এলাম। বরং ওই এলাকার বন্ধুরাও আমার রেফারেন্সে রেখা লজে আসা শুরু করল।

বন্ধুতে বন্ধুতে মিলন হল... কাট সিটের পরে আসল চেহারা উন্মোচিত হল। একদিন অমিত আমাকে বলল, ‘সারাদিন তো এখানে ই থাকেন। পারমানেন্ট ভাবে ই রেখা লজের মেম্বার হয়ে যান।‘

বন্ধুদের কারোই আপত্তি দেখলাম না।

রেখা লজে উঠে এলাম।

ভবিষ্যৎ মেকুরদের সাথে এখন ২৪ ঘন্টা। মুকুল, শফি (বিপ্লব) ও বল্লা জুয়েল। জুয়েল ছিল আমার বিশেষ বিশেষ সময়ের একমাত্র পার্টনার। অন্যরা প্রায় সবাই ক্লাশ করলেও আমি, জুয়েল ও শফি (বিপ্লব) ক্লাশ ই করতাম না। ভার্সিটির ষ্টেশন কিংবা কাটাপাহাড় বা নির্জন যায়গায় আমি কিংবা জুয়েল- দুজনের কেউ না কেউ থাকত। বন্ধুদের ক্লাশ শেষ হলে তারা যার যার মত এসে যেত।

জুয়েল আমাদের গলির একটু সামনেই অন্য এক বাসায় ওর ছোট ভাই ও এক সিনিয়র এনাম ভাইকে নিয়ে থাকত। তবে আড্ডা চলত রেখা লজে... ভবিষ্যৎ মেকুরদের মেকুর গুহায়।

আমাদের দিন কেটে যাচ্ছিলো আনন্দ-হাসি-গানে। জীবনটাকে তুলার মেঘের মতো দেখতে পাচ্ছিলাম- যখন যেখানে খুশী উড়ে যেতে পারছে। আমার নিজেকে খুব হাল্কা লাগছিল রেখা লজে এসে।

মুক্তি!

যেটা সিডিএ’র বাসায় বসে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরিবারের সাথে থাকা একটা ভাগ্যের ব্যাপার হলেও আমার তখনকার বয়সে আমি চরিত্রগতভাবে একটু শয়তান টাইপের হওয়াতে পরিবারে থেকে নিজের পরিপুর্ণ মজাটা নিতে পারতাম না। তবে নিজেকে ‘ওটা’ ভাবলে ও আমার বন্ধুরা সব ছিলো আমার সম্পুর্ণ বিপরীত।

এই মুক্তি ছিল নিজের ভিতরের সুপ্ত ইচ্ছাগুলোকে ডানা মেলে আকাশে উড়িয়ে দেবার... একটু সময় শুধুমাত্র নিজের জন্য করে নেয়ার...

আগেই বলেছিলাম আমাদের রেখা লজে বিভিন্ন এলাকার বন্ধুরা আড্ডা দিতে আসত। তো তাদের ভিতর থেকে এক দুজন এর অন্য অভ্যাস ছিলো। এরা সেই সময়ে হেরোইন এর নেশা করতো। কিন্তু আমরা জানতাম না। প্রায়-ই আমাদের কার না কারো জুতো বা স্যান্ডেল হারিয়ে যেতো। প্রথম দিকে ভাবলাম ভিক্ষুকের কাজ। তবে এর পরিমান বেড়ে যাওয়ায় সবাই সতর্ক রইলাম।

একদিন জুতো চুরি করতে গিয়ে যে ধরা পড়লো, তাকে দেখে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। মনে হচ্ছিল আমি নিজেই চোর। এমন অবস্থা। আমরা বন্ধুরা পারলে নিজেরা ই আত্মহত্যা করি এমন অবস্থা। জুবো তো কিছুক্ষন ‘ওকে’ পিটালো। সেই প্রথম দেখলাম, হেরোইনের নেশা মানুষকে কত নীচে নামিয়ে দেয়।আমার রেফারেন্সে সেই বন্ধু রেখা লজে এসেছিল। আড্ডা দিতো আর ফাঁক পেলে এই কুকর্মটি করত।

সেদিন রাতে আমরা সবাই রান্নাঘরে স্পেশাল ভাবে বসলাম। মনের দুঃখে আমি বাসার সামনের দোকান থেকে কয়েকটা শুকনো নারিকেল কিনে আনলাম। আর কিছু আনার কথা মনে হল না। সামনে নারিকেল পেলাম তো, তাই...

অনেক্ষণ ঝিম মেরে থেকে রেজা বলল, নাহ! এ ভাবে একজন বন্ধু চোর হয়ে যাবে? কিছু একটা করা দরকার। আমি যেন নিজেই তখন চোর। আমার বন্ধু চোর মানে আমিও চোর। জুবো, মিল্‌ পারভেজ সহ সবাই রেজার দিকে তাকিয়ে। সে চোখ বন্ধ করে আছে। ছোট্ট রুমটাকে হঠাৎ আমার কাছে বিশাল এক জগতের মত মনে হল। কারণ অন্য এক জগত থেকে শুভ চিন্তার প্রতিনিধি হয়ে কিছু একটা যে রেজার ব্রেইনের ভিতর দিয়ে আমাদের কাছে আসছে, সবাই টের পেলাম। কিন্তু তখনো অনুভব করতে পারছিলাম না কি হতে পারে।

রেজা যখন চোখ খুলল আমরা তো অবাক। চোখ দিয়ে যেন আলো (দ্যুতি) বের হচ্ছে। লাল চোখের সেই আলো আমাদের হৃদয়ের ভিতর পর্যন্ত যেন দেখে নিচ্ছিলো। একটু স্থির হবার পরে সে জানালো আমাদের কি করতে হবে।

অন্ধকার জীবনের গোলকধাঁধায় আর ঘুরে বেড়াতে হবে না।

নিজেরাই আলো হয়ে যাবো।

মেকুর একটা দর্শন! একটা পথ। আলোকময় পথ।

আমরা রেখা লজের সকল বন্ধুরা (রেজা, মিলন,জুয়েল,পারভেজ, অপু, অমিত, টিটু, শফি, জুবো, নাজমুল, সোহেল,মুন,মুকুল, মাতাল বাবু, মুহিত, আজম, মিজান, রিদোয়ান , আমি সহ সার্কেলের সবাই ) রেজার নেত্রিত্তে শপথ নিলাম।

আলোকিত মানুষ হবার ও বানাবার শপথ।

নিজেদের ভিতরের অন্ধকারকে দূর করে আলোময় করার।

এভাবে ই সেই ১৯৯৫ সালে আল-ফালাহ গলির রেখা লজে ‘মেকুর’ এর উৎপত্তি। আর সেই-ই মেকুরীয় দর্শণ নিয়ে আমাদের প্রথম পথচলার শুরু।

আসলে কি আমরা মেকুর হতে পেরেছিলাম?

না এখনো হতে পেরেছি? Good Luck

(ক্রমশঃ)

বিষয়: সাহিত্য

১১২৫ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

269015
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:২২
ফেরারী মন লিখেছেন : ব্লগে আপনাদের মত সুন্দর সুন্দর গল্পকার কবিকারদের লেখা পড়তে পড়তে তো আমার মাথার বুদ্ধি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে আমিও এখন লিখতে পারবো।

আমিও আলোকিত মানুষ হতে চাই আপনাদের গল্প পড়তে পড়তে অবশ্য হওয়ার পথে।

সেরাম লাগলো এক কথায় চমৎকার। Thumbs Up Thumbs Up
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪০
212782
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ।
আপনি তো লিখছেনই- আর আমরাও সেই লিখা পড়ছি, আনন্দ পাচ্ছি। বেশত চলছে।
সবাই নিজ নিজ হৃদয়ে সর্বাগ্রে আলোকিত হোক- এরপর অন্যদের পথ দেখাক। আল্লাহপাক সকলকে কবুল করুক-আমীন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
জাজাকাল্লাহু খাইর।Happy Good Luck
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৫৬
212790
আহ জীবন লিখেছেন : সত্যি বলেছেন।@ ফেরারি মন ভাই।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৫৭
212791
আহ জীবন লিখেছেন : আমার আরও একটা গল্প মাথায় এসেছে। আপনার তিন পুরুষ গল্প থেকে কিছুটা থিম নেব। কিছু মনে নিবেন না দয়া করে।@ মামুন ভাই।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১২:০৫
212793
ফেরারী মন লিখেছেন : হুম আহ জীবন ভাই। Love Struck Love Struck
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১২:২২
212799
মামুন লিখেছেন : আপনার ইচ্ছেমত আপনি নিয়ে নিন।
কিছুই মনে করব না।
ধন্যবাদ।@ আহ জীবনGood Luck Good Luck
269019
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:২৮
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অত্যন্ত দারুনভাবে লিখলেন। ভাল লাগল। সকলে আলোর পথে থাকুক
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪১
212783
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই।
আল্লাহপাক আপনার দোয়া কবুল করুন-আমীন।
শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।Happy Good Luck
269020
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:২৯
আহ জীবন লিখেছেন : আরও ক্ষুধার্ত হলাম।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪২
212785
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আগামী কালের জন্য অপেক্ষা করুণ।
শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।Happy Good Luck
269024
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪৮
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : সবাই আলোকিত মানুষ হয়ে দেশটাকে আলোকিত করি সেই প্রত্যাশাই করি।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১২:০৬
212794
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ।
সেই প্রত্যাশাই রইলো। আল্লাহপাক কবুল করুন-আমীন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।Happy Good Luck
269038
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৪৩
কাজী লোকমান হোসেন লিখেছেন : স্যার চিন্তা করতেছি লেখালেখি ছেড়ে দিয়ে আপনার পাঠক হয়ে থাকবো , ভালো লাগলো , ধন্যবাদ Rose Rose ্‌ তবে স্যার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু জায়গার কথা মনে হয় উঠে এসেছে যদি আমি ভুল না করি , Rose Rose Rose
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৫৮
212813
মামুন লিখেছেন : স্যার যদি মহাশয় হয়,কোনো সমস্যা নেই। তবে আমরা ভাই, এটিই আন্তরিক লাগছে।
হ্যা,একাংশ। চট্টগ্রাম ভার্সিটির বন্ধুদের কথা এসেছে। আর বঙ্গবন্ধু হল চবি'র নয়। এটি জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল। গল্পের বর্তমান সাভার, ঢাকায়। তবে অতীত চট্টগ্রামকেযাপার।এসেছে, সামনেও হয়ত আসবে।
আপনার মত গুণী লেখককে পাঠক হিসেবে পাওয়া আমার ভাগ্যের ব্যাপার।
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো।Happy Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File